Header Ads

Bangla knowledge for job preparation and bangla 2nd paper grammar for bcs preparation it is also bangla knowledge for student






Bangla knowledge for job preparation and bangla 2nd paper grammar for bcs preparation it is also bangla knowledge for student and index exam





বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা প্রস্তুতিঃবাংলা ব্যাকরণ ( সন্ধি)
আমরা ব্যাকরণকে যতটা কঠিন বিষয় মনে করি কিন্তু বিষয়টি আসলে ততটাই সহজ।
সন্ধি দিয়েই শুরু করি। সন্ধি শেখার আগে চলুন একটা মজার গেম খেলি। একটানা কয়েক বার দ্রুত বলতে চেষ্টা করুন- “ পাখি পাকা পেঁপে খায়”। কি বলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন? যা উচ্চারণ করতে চাচ্ছেন সেটা না হয়ে অন্য কিছু হয়ে যাচ্ছে? আচ্ছা তাহলে অন্য আরেকটি জিনিস চেষ্টা করুন- নিজে নিজে বলুন- “আখ খাই, আখ খাই, আখ খাই”। এবার বলতে সমস্যা না হলেও খেয়াল করে দেখুন- “আখ খাই” না হয়ে সেটা- “আক খাই” হয়ে যাচ্ছে। তাই না? কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এমন হয়? আসলে কিছু কিছু ধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারণ করতে গেলে আমাদের স্বর যন্ত্রের(Vocal cord) বেশি পরিশ্রম করতে হয়। বেশি পরিশ্রম কে করতে চায় বলুন!! তাই আমাদের কণ্ঠ পরিশ্রম কমানোর জন্য এসব ক্ষেত্রে, “খ” কে “ক” তে পরিবর্তন করে ফেলে। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, “খ” উচ্চারণ না করে কেন “ক” উচ্চারণ করলে কেন পরিশ্রম কম হবে?





আসলে যখন দুটি ধ্বনি পরপর উচ্চারণ করা হয় তখন প্রথমে উপরের ধ্বনি থাকলে আর পরে নিচের ধ্বনি থাকলে তা উচ্চারণ করতে আমাদের একটু বেশি পরিশ্রম হয়। অর্থাৎ আমরা চাইলেই প্রথমে নিচের ধ্বনি উচ্চারণ করে তারপর নিচের ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারব । কিন্তু এর উল্টোটা করতে গেলেই আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আর এমন হলেই আমাদের কণ্ঠ একটি ধ্বনিকে পরিবর্তন করে নিচের ধ্বনিতে রূপান্তরিত করে ফেলে। “ক” থেকে “খ” একটু উপরের ধ্বনি। তাই, “আখ খাই” তাড়াতাড়ি বলতে গেলে আমাদের কণ্ঠ সেটাকে, “ আক খাই” করে ফেলতে চায়। এখন আবার অনেকেই প্রশ্ন করবেন উপরের ধ্বনি কি আর নিচের ধ্বনি’ই বা কি? যেসব ধ্বনি উচ্চারণ করতে আমাদের জিহ্বা উপরে উঠে যায় সেগুলোকে আমরা উপরে ধ্বনি বলি। একটু চেষ্টা করে দেখুন- “খ” বলতে গেলে “ক” এর থেকে জিহ্বা একটু উপরে উঠে যায়; আমাদের একটু বেশি জোর দিতে হয়। ফলে আমাদের একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
যেসব জায়গায় এমন ঘটে, সেসব ক্ষেত্রে দুটি ধ্বনি মিলে একটি ধ্বনি হয়ে যায়। অর্থাৎ ধ্বনির মিলন ঘটে। আর এভাবে ধ্বনির মিলন ঘটাকেই ব্যাকরণের ভাষায় আমরা সন্ধি বলি।




সন্ধির উদ্দেশ্য ও সুবিধা
সন্ধির উদ্দেশ্য (ক) স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা এবং (খ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন করা। যেমন : ‘আশা’ ও ‘অতীত’ উচ্চারণে যে আয়াস প্রয়োজন, ‘আশাতীত’ তার চেয়ে অল্প আয়াসে উচ্চারিত হয়। সেরূপ ‘হিম আলয়’ বলতে যেরূপ শোনা যায়, ‘হিমালয়’ তার চেয়ে সহজে উচ্চারিত এবং শ্রুতিমধুর। তাই যে ক্ষেত্রে আয়াসের লাঘব হয় কিন্তু ধ্বনি-মাধুর্য রক্ষিত হয় না, সেক্ষেত্রে সন্ধি করার নিয়ম নাই। যেমন : কচু+আনা+আলু=কচ্চালালু হয় না।
স্বরসন্ধি
১. স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে।
২. সন্ধিতে দুটি সন্নিহিত স্বরের একটির লোপ হয়। যেমন : ক) অ+এ=এ (অ লোপ) : শত+এক=শতেক। এরূপ : কতেক।
খ) আ+আ+আ (একটি আ লোপ) : শাখা+আরি=শাঁখারি। এরূপ : রুপা+আলি=রুপালি।
গ) আ+উ=উ (আ লোপ) : মিথ্যা+উক=মিথ্যুক। এরূপ : হিংসুক, নিন্দুক ইত্যাদি।
ঘ) ই+এ=ই (এ লোপ) : কুড়ি+এক=কুড়িক। এরূপ: ধনিক, গুটিক ইত্যাদি। আশি+এর=আশির। এরূপ : নদীর (নদী+এর)।
৩. কোনো কোনো স্থলে পাশাপাশি দুটি স্বরের শেষেরটি লোপ পায়। যেমন : যা+ইচ্ছা+তাই= যাচ্ছেতাই এখানে (আ+ই) এর মধ্যে ‘ই’ লোপ পেয়েছে।



ব্যঞ্জনসন্ধি
স্বরে আর ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে আর স্বরে এবং ব্যঞ্জনে আর ব্যঞ্জনে মিলিত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি সমীভবন / Assimilation -এর নিয়মেই হয়ে থাকে। আর তাও মূলত কথারীতিতে সীমাবদ্ধ।
১. প্রথম ধ্বনি অঘোষ এবং পরবর্তী ধ্বনি ঘোষ হলে দুটি মিলে ঘোষধ্বনি দ্বিত্ব হয়। অর্থাৎ সন্ধিতে ঘোষ ধ্বনির পূর্ববর্তী অঘোষ ধ্বনিও ঘোষ হয়। যেমন : ছোট+দা=ছোড়দা।
২. হলন্তর্ (বন্ধ অক্ষরবিশিষ্ট) ধ্বনির পরে অন্য ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলের্ লুপ্ত হয়ে পরবর্তী ধ্বনি দ্বিত্ব হয়। যেমন : র্আ+ না=আন্না, চার+টি=চাট্টি, দুর+ছাই=দুচ্ছাই ইত্যাদি।
৩. চ-বর্গীয় ধ্বনির আগে যদি ত-বর্গীয় ধ্বনি পাশাপাশি এলে প্রথমটি লুপ্ত হয়ে পরবর্তী ধ্বনিটি দ্বিত্ব হয়। যেমন : নাত +জামাই=নাজ্জামাই (ত+জ্=জ্জ), জাত=বজ্জাত, ইত্যাদি।
৪. ‘প’-এর পরে ‘চ’ এবং ‘স’-এর পরে ‘ত’ এলে চ ও ত এর স্থলে শ হয়। যেমন : পাঁচ+শ=পাঁশ্শ, পাঁচ+ সিকা=পাঁশ্শিকা।
৫. হলন্ত ধ্বনির সাথে স্বরধ্বনি যুক্ত হলে স্বরের লোপ হয় না। যেমন: বোন+আই=বোনাই, চুন+আরি=চুনারি,বার+এক=বারেক।
৬. স্বরধ্বনির পরে ব্যঞ্জনধ্বনি এলে স্বরধ্বনিটি লুপ্ত হয়। যেমন : কাঁচা+কলা=কাঁচকলা, নাতি+বৌ=নাতবৌ, ঘোড়া+ দৌড়= ঘোড়দৌড়, ইত্যাদি।
কোন নিয়মগুলো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
বিগত বছরের বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখবেন- কিছু বিশেষ ও ব্যতিক্রমী সন্ধির নিয়মগুলোই বেশি দেওয়া হয়। এই নিয়মগুলো অবশ্যই ভাল মত শিখতে হবে। নিচে এমন কিছু নিয়ম দেওয়া হলো।
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
নিয়মহীনভাবে যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। যেমন : গো+অক্ষ=গোঅক্ষ বা গোবক্ষ বা গোবাক্ষ না হয়ে হবে গবাক্ষ, এখানে ‘ব’ না থাকা শর্তে ‘ব’ এসেছে। দুভাবে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধিকে ভাগ করা যায়। যেমন:
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি : নিয়মহীনভাবে স্বরে আর স্বরের মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলে। যেমন: অন্য+অন্য=অন্যান্য আইন+অনুসারে =আইনানুসারে।
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি : নিয়মহীনভাবে ব্যঞ্জনে আর ব্যঞ্জনের মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। যেমন: এক+দশ=একাদশ।
কতগুলো সন্ধি নিপাতনে সিদ্ধ হয় :
আ+চর্য=আশ্চর্য গো+পদ=গোষ্পদ
বন্+পতি=বনস্পতি বৃহৎ+পতি=বৃহস্পতি
তৎ+কর=তস্কর পর+পর=পরস্পর
মনস্+ঈষা=মনীষা ষট্+দশ=ষোড়শ
এক্+দশ=একাদশ পতৎ+অঞ্জলি=পতঞ্জলি
বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি
বাংলায় কতগুলো শব্দ ব্যবহৃত হয় যাদের বিশেষ নিয়মে সন্ধি হয়। যেমন :
উৎ+স্থান=উত্থান সম্+কার=সংস্কার উৎ+স্থাপন=উত্থাপন সম্+কৃত=সংস্কৃত পরি+কার=পরিষ্কার
এরূপ : সংস্কৃতি, পরিষ্কৃত
তৎসম বিসর্গ সন্ধি
সংস্কৃত সন্ধির নিয়মে পদেও অন্তস্থিত ‘র্’ ও ‘স্’ অনেক ক্ষেত্রে অঘোষ উষ্মধ্বনি অর্থাৎ ‘হ ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয় এবং তা বিসর্গ (ঃ) রূপে লেখা হয়। ‘র্’ ও ‘স্’ বিসর্গ ব্যঞ্জন ধ্বনিমালার অন্তর্গত। সে কারণে বিসর্গসন্ধি ব্যঞ্জনসন্ধির অন্তর্গত। বস্তুত বিসর্গ র্‘’ ও ‘স’- এর সংক্ষিপ্ত রূপ। খাঁটি বাংলা বিসর্গ ধ্বনি হয় না।
বিসর্গ ও স্বরের সন্ধি
অ-ধ্বনির পরস্থিত (অঘোষ উষ্মধ্বনি) বিসর্গের পর ‘অ’ ধ্বনি থাকলে অ+ঃ+অ তিনে মিলে ‘ও’ ধ্বনি/কার হয়। যেমন: ততঃ+অধিক=ততোধিক।
বিসর্গ ও ব্যঞ্জনের সন্ধি

keywords---Bangla knowledge for job preparation and bangla 2nd paper grammar for bcs preparation it is also bangla knowledge for student,nibondon index exam preparation, question ,answer,important suggestion,question bank,audio book,syllabus,mcq,exercise,creative question,common suggestion,class n6,class 7,class 8 ,class 9-10,intermidiate,college,notice,final suggestion,practice question,class six,CLASS SEVEN,CLASS EIGHT,class nine ,class ten,board syllabus,exam result,ssc mark sheet ,hsc mark sheet,jsc mark sheet,paragraph,letter,composition,email,dialogue,report,grammer,story,routine,dhaka sikka board,sylhet sikka board,comilla sikka board,chittagong sikka board,general knowledge,bcs preparation,job circular,job preparation,sadharon gan,সাধারন জ্ঞান,university admission,admission system, everything is here,


১. অ-কারের পরস্থিত স-জাত বিসর্গের পর ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্য ধ্বনি কিংবা অন্তস্থ য, অন্তস্থ ব, র, ল, হ থাকলে অ-কার ও স্-জাত বিসর্গ উভয় স্থলে ও-কার হয়। যেমন :
তিরঃ+ধান=তিরোধান মনঃ+রম=মনোরম মনঃ+হর=মনোহর তপঃ+বন=তপোবন
২. অ-কারের পরস্থিত র-জাত বিসর্গের পর উপর্যুক্ত ধ্বনিসমূহের কোনোটি থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘র’ হয়। যেমন :
অন্তঃ+গত=অন্তর্গত অন্তঃ+ধান=অন্তর্ধান পুনঃ+আয়=পুনরায় পুনঃ+উক্ত=পুনরুক্ত অহঃ+অহ=অহরহ
এরূপ : পুনর্জন্ম, পুনর্বার, প্রাতরুত্থান, অন্তর্ভূক্ত, পুনরপি, অন্তবর্তী
৩. অ ও আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সঙ্গে অ, আ, বর্গীয় ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ নাসিক্যধ্বনি কিংবা য, র, ল, ব, হ-এর সন্ধি হলে বিসর্গ স্থানে ‘র’ হয়। যেমন :
নিঃ+আকার=নিরাকার আশীঃ+বাদ=আশীর্বাদ দুঃ+যোগ=দুর্যোগ
৪. বিসর্গের পর অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জনের স্থলে দন্ত্য শিশ ধ্বনি হয়। যেমন :
ঃ+চ / ছ=শ+চ/ছ : নিঃ+চয়=নিশ্চয়, শিরঃ+ছেদ=শিরচ্ছেদ
ঃ+ট / ঠ=ষ+ট/ঠ : ধনুঃ+টঙ্কার=ধনুষ্টঙ্কার, নিঃ+ঠুর=নিষ্ঠুর
ঃ+ত / থ=স+ত/থ : দুঃ+তর=দুস্তর, দুঃ+থ=দুস্থ
৫. অঘোষ অল্পপ্রাণ ও অঘোষ মহাপ্রাণ কণ্ঠ্য কিংবা ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন (ক, খ, প, ফ) পরে থাকলে অ বা আ ধ্বনির পরস্থিত বিসর্গ স্থলে অঘোষ দন্ত্য শিশ ধ্বনি (স্) হয় এবং অ বা আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনির পরস্থিত বিসর্গ স্থলে অঘোষ মূর্ধন্য শিশ্ ধ্বনি হয়। যেমন:
অ-এর পরে বিসর্গ ঃ+ক=স্+ক : নমঃ+কার=নমস্কার
অ-এর পরে বিসর্গ ঃ+খ=স্+খ : পদঃ+খলন=পদস্খলন
ই-এর পরে বিসর্গ ঃ+ক=ষ+ক : নিঃ+কর=নিষ্কর
ঙ-এর পরে বিসর্গ ঃ+= ষ+ক : দুঃ+কর=দুষ্কর
এরূপ : পুরস্কার, মনস্কামনা, তিরস্কার, চতুষ্পদ, নিষ্ফল, নিষ্পাপ, দুষপ্রাপ্য, বহিষ্কৃত, দুষ্কৃতি, আবিষ্কার, চতুষ্কোণ।
আমি এখানে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো দিয়ে দিলাম। বাকি নিয়মগুলো প্রয়োজন হলে বই থেকে দেখে নেবেন। আমি এই সিরিজে একে একে ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ সব টপিকগুলো নিয়েই আলোচনা করব।
লেখা সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমাকে ইনবক্সে টেক্সট করতে পারেন।
বি দ্রঃ ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।



No comments

Powered by Blogger.